তারিকুল ইসলাম, ধুনট (বগুড়া):
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মার্কেটগুলোতে নেই যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। অথচ এই মার্কেটগুলোই অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন। এই অগ্নি বিভীষিকা মুহূর্তেই পুড়িয়ে নিঃশেষ করে দিচ্ছে অনেক পরিবারের স্বপ্ন। এসব মার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্তৃপক্ষকে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স বার বার সতর্ক করলেও তারা কোন কর্ণপাত করছে না বলে জানান ধুনট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধুনট শহরে মত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মার্কেট। সেসব মার্কেটে প্রাথমিক পর্যায়ের নিরাপত্তার জন্যও নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। নেই অগ্নিনির্বাহণ সিলিন্ডার, পানির রিজার্ভ ট্যাংক, বালুভর্তি বালতি ও রেসকিউ সিঁড়িসহ অন্যান্য অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী। কিছু কিছু জায়গায় অগ্নি নির্বাপণ সিলিন্ডার চোখে পড়লেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল বা এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। অথচ এসব মার্কেটগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে থাকে। এবং ঝুঁকি নিয়ে চলে বিকিকিনি।
মার্কেট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ ব্যবসায়ী বলেন, ‘মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরী। কোনো মার্কেটেই আগুন লাগলে তা নির্বাপণ করার মত যথাযথ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। আবার কোনকোন স্থানের মার্কেটে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করা অনেকটা সম্ভব নয়। ‘আমরা এ ব্যাপারে মার্কেট মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ফায়ার সার্ভিসের অফিসাররাও এসে বলে গেছেন। শীঘ্রই মার্কেট গুলোতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
ধুনট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার আতাউর রহমান জানান, ধুনট বাজারে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট এবং টেলিফোনের লাইন এলোমেলোভাবে রয়েছে । দুর্ঘটনা ঘটলে মার্কেটে ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের প্রাণহানি হতে পরে। আমরা তাদের বারবার সতর্ক করে দিচ্ছি। আগুন নেভাতে ওখানকার কিছু কিছু মার্কেটে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করাও প্রায় অসম্ভব । আশে পাশে পুকুর না থাকায় এসব মার্কেটে আগুন লাগলে দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হবে না। আমাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এক দোকান থেকে আরেক দোকানের দূরত্ব সাড়ে তিন মিটার হওয়া উচিত। প্রতিটি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে পানি রিজার্ভ অথবা পানির রিজাভ ট্যাংক রাখা উচিত। এতে করে ক্ষতির পরিমান কম হবে।
এ প্রসঙ্গে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, উপজেলার যেসব মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।