শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চোমরপাথালিয়া গ্রামের গৃহবধু নাজমিন খাতুন (২২) কে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে রাজমিস্ত্রী সাইফুল ইসলাম (২৮) কে আটক করেছে শেরপুর থানা পুলিশ। গতকাল ১৭ অক্টোবর শনিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে নাজমিন খাতুনের সাথে একই উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে শাহিন আলমের বিয়ে হয়। তারা ৭ বছর ধরে সংসার করে আসছিল। বিয়ের পর থেকেই চোমরপাথালিয়া গ্রামের জামাদার আলীর ছেলে প্রতিবেশী মামা সাইফুল ইসলাম নাজমিনকে একের পর এক কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
তার দেয়া কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাজমিনের স্বামী সন্তানদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছিল সাইফুল ইসলাম। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর রাতে বাড়ির বাহিরের টিউবওয়েলে নাজমিন খাতুন হাত মুখ ধুতে গেলে এই সুযোগে সাইফুল ইসলাম নাজমিনের শয়ন কক্ষের খাটের নিচে লুকিয়ে পরে। নাজমিন ঘরের মধ্যে গেলে তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ধর্ষক সাইফুলকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এবং ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা শুনে ফোর্স পাঠিয়ে ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।