পারভীন লুনা:
বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে অসুস্থদের মধ্যে রামনাথ রবিদাস ও ক্ষিতিশ চন্দ্র ভেলু (৫৫) নামের আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এ নিয়ে বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে।
রামনাথ রবিদাস শহরের পুরান বগুড়া ঋষি পল্লীর মৃত রামপদ রবিদাসের ছেলে এবং ক্ষিতিশ চন্দ্র ভেলু পার্শ্ববর্তী পুরান বগুড়া হিন্দু পাড়ার নিতাই চন্দ্রের ছেলে। রামনাথ রবিদাস মারা যাওয়ায় ঋষি পল্লীর একই পরিবারে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হলো।
জানা গেছে, ঋষিপল্লীতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবিবার রাতে তারা অ্যালকোহল জাতীয় মদপান করেন। এতে বিষক্রিয়ায় ঋষিপল্লির সুমন তার বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ মারা যায়। একই রাতে এবং পরদিন সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়।
এই আটজন হলেন- পুরান বগুড়া এলাকার রমজান আলী (৪০), শহরের কাটনার পাড়ার সাজু মিয়া (৫৫) ও মোজাহার আলী (৭০), ফুলবাড়ি সরকার পাড়ার আব্দুল জলিল (৬৫), ফাঁপোড়ের জুলফিকার আলী (৫২), ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার পলাশ (৩৫), নিশিন্দারা ধমকপাড়ার আলমগীর গোসেন (৪০) ও ক্ষিতিশ চন্দ্র ভেলু (৫৫)।
এদিকে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনায় অবৈধভাবে অ্যালকোহল বিক্রির অভিযোগে মনোয়ার হোসেন রিপন নামের একজন বাদী হয়ে সোমবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন। তিনি গত রবিবার রাতে অ্যালকোহল পানি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রঞ্জুর ভাই।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর বলেন, মামলায় তিনজন অ্যালকোহল বিক্রেতাকে আসামি করা হয়েছে। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করেছে।
বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর অভিযোগে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়। অন্যদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।