এস,আই শাওন:
সড়কের সুরকি, পাথর ও পিচ উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খানাখন্দে ভরপুর এ সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানি ও কাদা ছড়িয়ে হয় একাকার। খানাখন্দ ও কাদা মাড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়ক দিয়ে মার্কেটে মার্কেটে ঘুরতে হয় ক্রেতাদের।
প্রতিদিন দোকানে আসতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় দোকান মালিকদের। বেহাল সড়কে দুর্ভোগ, যন্ত্রণা আর বিড়ম্বনার নিয়েই বাজারে এবং জমি রেজিস্ট্রি করতে আসে হাজার হাজার মানুষ। সড়ক দুটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে বহুদিন ধরে। এ সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, মোটর সাইকেল, অটোভ্যানসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
উপরোক্ত বর্ণনাগুলো বগুড়া জেলার শেরপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের শেরশাহ নিউমার্কেট-শেরপুর প্লাজার গলি (উক্ত সড়কের দুইপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের শপিংমল।) এবং ৯নং ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রি অফিস হাটখোলা মোড় হতে বারদুয়ারী পাড়া মসজিদ এলাকার।
বিগত ১০ বছরে কেউই এই রাস্তার দিকে তাকায়নি। নেয়নি কোন খোঁজ। গত ১৬ জানুয়ারী শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আলহাজ¦ জানে আলম খোকার প্রতিশ্রুতি ছিল নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে এই দুটি সড়ক সংস্কার করবেন। যেই কথা সেই কাজ। নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে শপথ গ্রহণের ৭দিনের মাথায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাতে নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা দুটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগি করে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন নব নির্বাচিত মেয়র আলহাজ¦ জানে আলম খোকা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিজস্ব অর্থায়নে মার্কেটের রাস্তাটি (প্রায় ৭০০ ফুট) ইটের খোয়া দিয়ে মেরামত করে চলাচলের উপযোগি করে তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি চলাচলের উপযোগি করেছেন রেজিস্ট্রি এলাকার রাস্তাটিও।
এ ব্যাপারে শেরপুর প্লাজার স্বত্বাধিকারী রেজওয়ানুল আলম রাজন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই রাস্তার অচলাবস্থা ছিল। বিভিন্ন সময়ের মেয়র কাউন্সিলরদের কাছে ধর্না দিয়েও কোন লাভ হয়নি। অথচ নব নির্বাচিত মেয়র জানে আলম খোকা নিজস্ব অর্থায়নে এ রাস্তা চলাচলের উপযোগি করলেন। কথায় আছে “ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়”।
রেজিস্ট্রি অফিসের ক্রিয়েটিভ হ্যাচারীর সত্ত্বাধিকারী আব্দুল কাদের জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি। বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে খানাখন্দে গর্তেভরা সড়কে পানি জমে যানবাহন দুর্ঘটনা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন অনেকেই। এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে শপথ নেওয়ার ৭-৮ দিনের মধ্যেই রাস্তাটি সংস্কার করায় নবনির্বাচিত মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
জানতে চাইলে নব নির্বাচিত মেয়র আলহাজ জানে আলম খোকা বলেন, আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে মার্কেট মালিকদের কথা দিয়েছিলাম নির্বাচিত হলে প্রথমে ওই রাস্তা চলাচলের উপযোগি করবো। সারাদিন ওই রাস্তায় অনেক লোকজন যাওয়া আসা করে তাই গত সোমবার রাতে ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্যামসহ সকলের সহযোগিতায় রাস্তার মেরামত কাজ করেছি। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার সকল বেহাল রাস্তার মেরামতসহ আধুনিক পৌরসভা গড়তে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।