তারিকুল ইসলাম. ধুনট (বগুড়া) থেকে
বগুড়ার ধুনট উপজেলার চিকাশী তিনমাথা এলাকার নাসিম হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ভিজিডি কার্ডের ১৮বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরী সেবা কেন্দ্রের ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে ওই গুদামে ভিজিডি’র চাল রয়েছে বলে স্থানীয় এক ব্যক্তি তথ্য দেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকাল ৯টায় ধুনট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে। ব্যবসায়ী নাসিম উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নে ২৪৮টি ভিজিডি কার্ডের চাল বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিমাসে এসব কার্ডধারী ৩০কেজি করে চাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উত্তোলন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি সুবিধাভোগী দুস্থরা চাল উত্তোলন করেছে। ওই দিন ব্যবসায়ী নাসিম হোসেন ভিজিডি সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১৮ বস্তা চাল ক্রয় করে চিকাশি তিনমাথা বাজার এলাকায় গুদামজাত করে। এঅবস্থায় সোমবার সকালের দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুদাম থেকে ভিজিডি’র ১৮ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ব্যবসায়ী নাসিম গাঁ-ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নাসিম হোসেন বলেন, ভিজিডি সুবিধাভোগীরা স্বেচ্ছায় আমার কাছে চাল গুলো বস্তাসহ বিক্রি করেছে। আমি ব্যবসায়ীক নীতি মেনে চালগুলো কিনে গুদামে মজুদ রেখেছি। ভিজিডির চাল বেচাকেনা অবৈধ কি না এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
উপজেলা চিকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কাদির শিপন বলেন, বৃহস্পতিবার ভিজিডি সুবিধাভোগীদের নিকট বিধিমোতাবেক চাল বিতরণ করা হয়েছে। কার্ডধারীরা এসব চাল নিয়ে কি করেছে তা আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে পুলিশ ভিজিডি কার্ডের ১৮ বস্তা চাল জব্দ করেছে বলে শুনেছি।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এক ব্যবসায়ীর গুদামে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ভিজিডি কার্ডের ১৮ বস্তা চাল জব্দ করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। সরকারি ত্রাণের চাল কেনাবেচা বেআইনী। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।