পারভীন লুনা,বগুড়া
বগুড়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধি নিষেধ অমান্য করে সকাল থেকে শহরে মানুষের ঢল নামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সদস্যরা যখন হিমশিম খাচ্ছেন সেই মুহূর্তে রাস্তায় নামেন জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা রোববার (২৭ জুন) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পুলিশ সুপার নিজেই সাতমাথায় বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান।
জানা যায়, বগুড়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন ৭ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেন। বিধি নিষেধের মধ্যে জরুরি পরিসেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) ৭দিনের বিধি নিষেধের সময় সীমা অতিবাহিত হলে তা বাড়ানো হয়। কিন্তু রোববার (২৭ জুন) সকাল থেকে শহরের চিত্র পাল্টে যায়। রিকশা-ভ্যান ছাড়াও বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে মানুষ শহরে আসতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ সুপার নিজেই সাতমাথায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন আটক করতে থাকেন।
এ সময় দেখা যায় বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ মটর সাইকেল, প্রাইভেট কার মাইক্রোবাস নিয়ে শহরে এসেছে। বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের কাউকেই ছাড় দেয়া হয়নি অভিযান চলাকালে। নাটোর জেলা পুলিশে কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা মোটর সাইকেল নিয়ে বগুড়ায় আসায় তাকেও মামলা দেয়া হয়। এ সময় আইনজীবি ও প্রেস স্টিকার লাগিয়ে যাত্রী পরিবহন করা ১টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস আটক করা হয়। পুলিশ সুপারের দুই ঘণ্টার অভিযানে বিধি নিষেধ অমান্যের অভিযোগে আটক করা হয় মোটর সাইকেলসহ প্রায় দু’শ যানবাহন। আটককৃত যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশ মোটরযান আইনে মামলা করেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন, জরুরি প্রয়োজন নেই, তারপরেও নানা অজুহাতে লোকজন শহরে ভিড় করছে। বিনা কারনে শহরে আসা যানবাহনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।