শাওন, শেরপুর (বগুড়া) :
সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী হত্যাকান্ডে ১৭তম বর্ষে স্মরণসভা করেছে শেরপুর প্রেসক্লাব, বগুড়া। শনিবার সন্ধা ৭ টার দিকে শেরপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় শেরপুর প্রেসক্লাবে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক বিজয় বাংলা’র সম্পাদক ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর সাংবাদিক নিমাই ঘোষ, সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত বসাক, কালের কন্ঠ পত্রিকার শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি আইয়ুব আলী, সময়ের আলো শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক আব্দুল আলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহ জামাল কামাল, জাহাঙ্গীর ইসলাম, সদস্য শহিদুল ইসলাম শাওন, উৎপল মালাকার, আব্দুল ওয়াদুদ, অশোক সরকার, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ছিলেন একজন নির্বিবাদী মানুষ। দীর্ঘদিন পর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততা দেখিয়ে নাটক সাজিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি এই ১৭ বছরে প্রায় ডজনখানেক তদন্ত কর্মকর্তা বদলিয়ে দীপঙ্কর হত্যা নিয়ে প্রহসন হয়েছে। ঘটনার সময় ও তার পরবর্তীতে সময় থেকেই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাও করা হয়েছে। অনেক আগে মামলার আলামত থানা থেকে গায়েব হয়ে গেছে, যার হদিস এখনও পুলিশ দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর কাজ শেষে বগুড়ার শেরপুরে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তী। ওই ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের বড় ছেলে পার্থ সারথী চক্রবর্তী বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দীর্ঘসময় পুলিশ, ডিবি ও সিআইডি তদন্ত করে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ডিবি পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ডে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততা বিষয়টি সামনে আনে। দেশের আলোচিত জঙ্গি হামলা হলি আর্টিজেনের অন্যতম আসামি রাজীব গান্ধী এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে।