এস,আই শাওন:
‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৮ অক্টোবর প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস হিসেবে দেশব্যাপী ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ উলিপুর আমিরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাজিল মাদরাসায় রচনা, চিত্রাঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উলিপুর আমিরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিষয়ের প্রভাষক, সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিভিন্ন শ্রেনীর শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তৃতায় উলিপুর আমিরিয়া সমতুল্যা মহিলা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর কনিষ্ঠ পুত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অতি আদরের ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মদিন আজ। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালবাসার নাম। শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তার স্মৃতি। বাংলাদেশের সব শিশুকে রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তারা এগিয়ে আসুক- আজ এ প্রত্যাশাই করি।
পরে, রচনা, চিত্রাঙ্কন, কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা পরবর্তী দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার অতি আদরের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত স্থান ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু-খুনি ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। কিন্তু ছোট্ট শিশুর এ মিনতি ঘাতকদের মন একটুও গলাতে পারেনি। নিমিষেই তারা বুলেটের আঘাতে শিশু রাসেলের প্রাণ কেড়ে নেয়। মৃত্যুকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুলে (বর্তমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ) চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। শেখ রাসেলের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালন এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ঘোষণা করে সরকার।