নবদিন ডেস্ক:
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা চাঁচাইতারা শ্মশানঘাটে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। স্থানীয়দের দেয়া খবরে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেন। নিহত ব্যাক্তি উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়া দক্ষিন পাড়া বারুনিঘাট গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে মোঃ সজল(৩২)। তিনি চিটাগাং একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পদে চাকুরি করতেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ এবং নিহতের পরিবার। তবে মেয়েলি কোন কারণ থাকতে পারে বলে নিহতের পরিবার থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
নিহতের ভাই সাখাওয়াত হোসেন সোহেল জানান, আমাদের বাবা মা আগেই মারা গেছেন। ৪ভাই বোনের মধ্যে নিহত সজল ছিলো দ্বিতীয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি পদে চিটাগং জেলায় চাকুরি করছিলো সজল। ফেসবুকে নিজ উপজেলার জোঁকা গ্রামের এক মেয়ের সাথে সজলের পরিচয় হয়। প্রায় ৫মাস পূর্বে বাড়িতে কিছু না জানিয়ে সজল ওই মেয়েটিকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করে।
বিয়ের বিষয়ে আমরা পরে জানতে পারি। তবে এই বিষয়ে আমাদের কোন আপত্তি ছিলনা। বিয়ের পর থেকেই সজল আমাদের সবার সাথেই কম যোগাযোগ করতে থাকে। প্রায় সময়ই মন মরা হয়ে থাকতো। এরমধ্যে ওই মেয়ের বাবা চিটাগং গিয়ে সজলের সাথে দেখা করে কথা বলে আসে। প্রায় দেড়মাস পূর্বে মেয়েটি সজলকে ডিভোর্স দেয় বলে জানতে পারি। এ বিষয়ে ভাই সজল আমাদের সাথে কখনোই মন খুলে কথা বলতো না।
সম্প্রতি ওই চাকুরি ছেড়ে অন্য কোম্পানিতে ঢুকেছে বলে আমাদের জানায়। আমরা তার সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে মিটিংয়ে আছি বা ব্যাস্ত আছি বলে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে চলতো। ওই মেয়েটি ডিভোর্সের পর অন্য ছেলেকে বিয়ে করে সংসার করছে বলে শুনেছি। সজলের মৃত্যুর পিছনে এই কারণটা থাকতেও পারে বলে আমার মনে হয়। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ বাসায় এসে সজলের মৃত্যুর খবর আমাদের জানায়। শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মরদহেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পকেটে থাকা মানিব্যাগে ১৯ নভম্বের তারিখের শ্যামলী এনআর ট্রাভলেস বাসের একটি টিকিট পাওয়া গছে। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিৎ হওয়া যায়নি।