বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া জেলার শেরপুর-ধুনটের সংযোগ সড়কের শহরের ধুনটরোড থেকে বথুয়াবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কে ৮ হাজরেরও বেশী গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই ভগ্নদশা অবস্থা তারমধ্যে শুরু হয়েছে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের প্রসস্ত করণ কাজ। সড়ক সংস্কারের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাজেট ধরিয়ে দেয়া থাকলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। ঠিকাদারের অবহেলায় সড়কটি প্রায় ৯ মাস যাবৎ সকল ধরনের যানবহন চালকসহ চলাচলরত লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ওই সড়কে চলাচলরত বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে যানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ীভাবে সংস্কার না করায় ওই সড়কটির অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে শেরপুর, ধুনট ও কাজিপুর উপজেলার লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন সময় মহাসড়কে যানযটের সৃষ্টি হলে এই সড়ক দিয়ে চলা ঢাকাগামি কোচের যাত্রীরাও ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮ কিলোমিটার সড়কের বেশীরভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃস্টি হয়েছে। সড়কে একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে অতিক্রম করতে পারছে না। সেই গর্তগুলোর মধ্যে কিছু গর্ত দুই একবার যত্রতত্র মেরামত করলেও তার মান ভাল না। কোন রকমে পিচ ব্যবহার করে ইটের খোয়া দিয়ে গর্তগুলো ভরাট করছে। মেরামতের কয়েকদিন পরেই সেগুলো উঠে গিয়ে আগের চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
সিএনজি চালক মজিবর রহমান বলেন, এমন বেহাল সড়কে চলাচল করার কারণে আমার সিএনজির যন্ত্রাংশ খুলে খুলে পরছে। এতে আমরা খুব ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। মহাজনের সিএনজি ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় আমাদের। দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া খাটি। মহাজনকে দিতে হয় ৩০০ টাকা। আর সড়কের জন্য সিএনজি মেরামত করতে হয় ২০০ থেকে আড়াইশো টাকার। বাকি টাকা দিয়ে কি আমাদের ভালভাবে বেচে থাকা সম্ভব। নতুনভাবে সড়কের কার্পেটিং না করলে আমাদের দুর্ভোগ কোন দিনই শেষ হবেনা।
চৌবাড়িয়া গ্রামের মো. শরীফসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য শেরপুরের হাটবাজারে নিতে হয়। কিন্তু এই খানাখন্দে ভরা সড়কের কারণে ভ্যানচালকেরা যেতে চান না। ভ্যান চালকেরা গেলেও এ জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। দ্রুত এ সড়কটি সংস্কার করা দরকার।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. এমদাদ হোসেন বলেন, সড়কটিতে অনেক বেশী গর্ত হয়েছে যা চলাচলের অনুপযোগী। সড়ক সংষ্কারের জন্য অল্প কিছু বাজেট দেয়া আছে। আমরা ইতিমধ্যে সড়কের কার্পেটিং তুলে গর্তগুলো বন্ধ করে চলাচলের উপযোগী করছি।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, শেরপুর-কাজিপুর সড়কের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কে সংস্কার কাজের জন্য বাজেট ধরে দেয়া আছে। সড়ক প্রসস্ত কাজের মধ্যেই খানাখন্দে ভরা সড়কের সংস্কার কাজ করা হবে।